ঢাকা ০১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিসিসি থেকে বাড়ির  প্লান নেয়ার পরও হয়রানি-প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

বার্তা টাইমস বিডি ডেস্কঃঃ হোল্ডিং, বাড়ির প্লান এবং জমির বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্যেও ৪০টি পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তারা অভিযোগ করেছেন, কথিত শোভা রানির খালের জমি উদ্ধারের নামে তাদের নোটিশ দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। তালা বলেন, জীবনের শেষ সম্বল জমি এবং বাড়িটুকু হারালে পথে বসতে হবে তাদের।

শনিবার দুপুরের দিকে বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগকারীরা বরিশাল নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিআইপি শাখা সড়কের বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীদের পক্ষে মো. মজিবর রহমান বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিআইপি শাখা সড়কে জে.এল. ৫০ নম্বর বগুড়া আলেকান্দা মৌজার এস, এ. ১৩৬৪০নং খতিয়ানের হাল ৬১৯০ নম্বর দাগের জমিতে আমরা সকলে যে যার মত ভবন নির্মাণ করেছি। এ লক্ষ্যে সিটি করপোরেশন থেকে হোল্ডিং, বাড়ির প্লান পাস করা হয়েছে। তাছাড়া ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর সিটি করপোরেশন থেকে আমারা ভবন নির্মাণের জন্য অনাপত্তি সনদ পেয়েছি।

তারা আরও জানান, ওই জমির বিষয়ে বরিশালের ৬ষ্ঠ মুন্সেফী আদালতের দেওয়ানী মামলা ও ডিক্রী অনুবলে বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক, বরিশাল গংদের বিরুদ্ধে বরিশালের ২য় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের দেওয়ানী আপীল মামলার রায় প্রাপ্ত আমাদের পক্ষে রয়েছে। উক্ত রায়ে ডিক্রী বহাল ও বলবৎ আছে।

তাছাড়া বিরোধীয় ভূমি সম্পর্কে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন ২৬৪৩/২০২২ হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে স্থিতিবস্থার আদেশ বহাল আছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৪ আগস্ট স্থিতিবস্থার আদেশ ৬ মাসের জন্য বর্ধিত করা হয়েছে।

তারা বলেন, এরপরও আমাদের জমির কাজপত্র ও বিসিসি থেকে দেয়া প্লান কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্যেও গত ২৯ সেপ্টেম্বর আমাদের প্লানের কাগজপত্র চেয়ে নোটিশ করে। ৬ অক্টোবর আমরা প্লানের কাগজপত্র বিসিসিতে জমা দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন- একটি কু-চক্রিমহল তাদের জমিকে খালের জমি হিসাবে চিহ্নিত করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারকে ভুল বুঝিয়েছেন। তাই আমরা আবারও গত ৯ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনারের সাথে দেখা করে জমির কাগজপত্র ও প্লানের বিষয় অবগত করেছি। সরেজমিনে তদন্ত করে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

তারা বলেন, আমরা এখানে যারা বসবাস করি বেশিভাগ পরিবারই সরকারি চাকরিজীবী ছিলাম। জীবনের সমস্ত সঞ্চয়ের মাধ্যমে এবং ধার দেনা করে সিটি করপোরেশনের আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধি মেনে ইমারত নির্মাণ করেছি। আমাদের সামান্য পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হলে পরিবার পরিজন নিয়া মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে। আমাদের এখানে কারো যদি বিসিসির প্লান না থাকে তা হলে তাদের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন আইনকানুন ব্যবস্থা নিক। তার পরও আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।

Tag :
About Author Information

Barta Times bd

জনপ্রিয়

বরিশালে ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলা, আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলিবর্ষণ

বিসিসি থেকে বাড়ির  প্লান নেয়ার পরও হয়রানি-প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৮:২৮:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

বার্তা টাইমস বিডি ডেস্কঃঃ হোল্ডিং, বাড়ির প্লান এবং জমির বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্যেও ৪০টি পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তারা অভিযোগ করেছেন, কথিত শোভা রানির খালের জমি উদ্ধারের নামে তাদের নোটিশ দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ। তালা বলেন, জীবনের শেষ সম্বল জমি এবং বাড়িটুকু হারালে পথে বসতে হবে তাদের।

শনিবার দুপুরের দিকে বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগকারীরা বরিশাল নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিআইপি শাখা সড়কের বাসিন্দা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগীদের পক্ষে মো. মজিবর রহমান বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিআইপি শাখা সড়কে জে.এল. ৫০ নম্বর বগুড়া আলেকান্দা মৌজার এস, এ. ১৩৬৪০নং খতিয়ানের হাল ৬১৯০ নম্বর দাগের জমিতে আমরা সকলে যে যার মত ভবন নির্মাণ করেছি। এ লক্ষ্যে সিটি করপোরেশন থেকে হোল্ডিং, বাড়ির প্লান পাস করা হয়েছে। তাছাড়া ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর সিটি করপোরেশন থেকে আমারা ভবন নির্মাণের জন্য অনাপত্তি সনদ পেয়েছি।

তারা আরও জানান, ওই জমির বিষয়ে বরিশালের ৬ষ্ঠ মুন্সেফী আদালতের দেওয়ানী মামলা ও ডিক্রী অনুবলে বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক, বরিশাল গংদের বিরুদ্ধে বরিশালের ২য় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের দেওয়ানী আপীল মামলার রায় প্রাপ্ত আমাদের পক্ষে রয়েছে। উক্ত রায়ে ডিক্রী বহাল ও বলবৎ আছে।

তাছাড়া বিরোধীয় ভূমি সম্পর্কে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন ২৬৪৩/২০২২ হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে স্থিতিবস্থার আদেশ বহাল আছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৪ আগস্ট স্থিতিবস্থার আদেশ ৬ মাসের জন্য বর্ধিত করা হয়েছে।

তারা বলেন, এরপরও আমাদের জমির কাজপত্র ও বিসিসি থেকে দেয়া প্লান কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্যেও গত ২৯ সেপ্টেম্বর আমাদের প্লানের কাগজপত্র চেয়ে নোটিশ করে। ৬ অক্টোবর আমরা প্লানের কাগজপত্র বিসিসিতে জমা দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন- একটি কু-চক্রিমহল তাদের জমিকে খালের জমি হিসাবে চিহ্নিত করে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারকে ভুল বুঝিয়েছেন। তাই আমরা আবারও গত ৯ অক্টোবর বিভাগীয় কমিশনারের সাথে দেখা করে জমির কাগজপত্র ও প্লানের বিষয় অবগত করেছি। সরেজমিনে তদন্ত করে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

তারা বলেন, আমরা এখানে যারা বসবাস করি বেশিভাগ পরিবারই সরকারি চাকরিজীবী ছিলাম। জীবনের সমস্ত সঞ্চয়ের মাধ্যমে এবং ধার দেনা করে সিটি করপোরেশনের আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধি মেনে ইমারত নির্মাণ করেছি। আমাদের সামান্য পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হলে পরিবার পরিজন নিয়া মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে। আমাদের এখানে কারো যদি বিসিসির প্লান না থাকে তা হলে তাদের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন আইনকানুন ব্যবস্থা নিক। তার পরও আমরা এর সুষ্ঠু সমাধান চাই।