ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে আপিল ও প্রতীক বরাদ্দের শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি

নিজস্ব প্রতিবেদক :: জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে আপিল ও প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে দলটির করা আবেদনের শুনানি আগামীকাল বুধবার (১৪ মে) পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

শুনানি শুরুর পর আদালত বুধবার (১৪ মে) পর্যন্ত মামলাটি মুলতবি রাখার আদেশ দেন। জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

এর আগে, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট মামলার রায়ে হাইকোর্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও দলটিকে অবৈধ ঘোষণা করে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াত। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দায়ের করা ওই আপিলের শুনানিতে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ আদেশ দিয়ে আপিলটি খারিজ করে দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

তবে জামায়াত পরে আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করে, এবং ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ সময়সীমা মাফ করে মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য গ্রহণ করে (রিস্টোর করে)। এরপর ৩ ডিসেম্বর থেকে পুনরুজ্জীবিত আপিলের ওপর ধারাবাহিক শুনানি শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ফের শুনানি হয় এবং তা বুধবার পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়।

জামায়াত-শিবিরকে গত বছরের ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিষিদ্ধ করা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৮ আগস্টের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাস-সহিংসতার সঙ্গে সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সরকার বিশ্বাস করে জামায়াত–শিবিরসহ এর অঙ্গসংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নয়।

Tag :
About Author Information

Barta Times bd

জনপ্রিয়

নলছিটিতে সেই পরকীয়া প্রেমিক প্রেমিকা অবশেষে পুলিশের খাঁচায়

জামায়াত ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে আপিল ও প্রতীক বরাদ্দের শুনানি বুধবার পর্যন্ত মুলতবি

আপডেট সময় : ১০:২২:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :: জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে আপিল ও প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে দলটির করা আবেদনের শুনানি আগামীকাল বুধবার (১৪ মে) পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টায় প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

শুনানি শুরুর পর আদালত বুধবার (১৪ মে) পর্যন্ত মামলাটি মুলতবি রাখার আদেশ দেন। জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

এর আগে, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট মামলার রায়ে হাইকোর্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও দলটিকে অবৈধ ঘোষণা করে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াত। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দায়ের করা ওই আপিলের শুনানিতে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ আদেশ দিয়ে আপিলটি খারিজ করে দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

তবে জামায়াত পরে আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করে, এবং ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ সময়সীমা মাফ করে মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য গ্রহণ করে (রিস্টোর করে)। এরপর ৩ ডিসেম্বর থেকে পুনরুজ্জীবিত আপিলের ওপর ধারাবাহিক শুনানি শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ফের শুনানি হয় এবং তা বুধবার পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়।

জামায়াত-শিবিরকে গত বছরের ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিষিদ্ধ করা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতন হলে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৮ আগস্টের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাস-সহিংসতার সঙ্গে সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সরকার বিশ্বাস করে জামায়াত–শিবিরসহ এর অঙ্গসংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত নয়।