
স্টাফ রিপোর্টারঃঃ বরিশাল নগরীর ৬নং ওয়ার্ড কলাপট্টি এলাকায় পূর্বের শত্রুতার জের ধরে হত্যার চেষ্টায় ৪জনকে কুপিয়েছে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা।
আহতরা হলেন, নগরীর কলাপট্টি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা খাজা আলম (৫০) রাকিব (২৫) পিতা: খাজা আলম,মৃত জবান আলী খন্দকার এর ছেলে নুরে আলম খন্দকার (৪০) রাজন (৩৭)।
আহত খাজা আলমের স্ত্রী রানু বেগম বলেন, সকাল ৯টার সময় আমাগো ছাগলে তাদের ভাতের মার খেয়েছে। এরপর ছাগলের শরীরে ইটদিয়ে জোড়ে আঘাত করে আলী আকবরের বউ নাছিমা। ছাগলটি ইটের আঘাতে ব্যাথা পেয়ে জোড়ে চিৎকার দেয়। পরে আমি জিজ্ঞাসা করলে আমার সাথে কথা কাটাকাটি হয় ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়।
এনিয়ে আমি কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরর্তীতে আমি থানা থেকে বাসায় আসলে আনুমানিক ১১টার সময় আকবর ও তার পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে ১ দফা আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে আমার ছেলে ঘুম থেকে উঠে এসে ইট দিয়ে ছাগলকে কেনো আঘাত করছে জানতে চাইলে মাদক ব্যবসায়ী, আওয়ামী লীগের দোষর আলী আকবর ওরফে আকাব্বর তার ছেলে আল আমিন, মেজো ছেলে আরিফ, ছোট ছেলে সজিবসহ অজ্ঞাতনামা ৮/ ১০সহযোগী হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের বসত ঘরে ঢুকে আমার পরিবারের ৪জনকে দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি, চাকুদিয়ে কুপিয়ে যখম করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করি। এছাড়াও পূর্বেও আমার ২টি ছাগল আকবর ও তার ছেলেরা মেরে ফেলে। সেই পূর্বের সূত্র ধরে পূনরায় আবারও আজ হামলা চালায়।
তিনি আরো বলেন , আলী আকবর ওরফে আকাব্বর তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতেছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখে সাহস পায় না। এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট, হামলা মামলাসহ প্রতিটি স্থানই নিয়ন্ত্রণ করে আলী আকবর ও তার ছেলেরা।
অপরদিকে শেবাচিম হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, আহত ৪ জনারই মাথায় মারাত্মক যখম রয়েছে। এর ভিতর দুইজনার অবস্থা আশংকা জনক।
এবিষয় কোতোয়ালি মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই পার্থ সারথী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমাদের অফিসার ওখানে গিয়েছিলো। আহতরা সকালে একবার অভিযোগ দায়ের করেছিলো। অপরাধ যে করবে তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইন কানুন ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।