ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিআইপি শাখা সড়কে ভবনে প্ল্যান অনুমোদিত থাকার পরেও বিসিসির হয়রানী।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ আমাদের এখানে সবকিছু বৈধ, প্রত্যেক বাড়িওয়ালা প্ল্যান করো বাড়ি করেছে। বৈধ থাকা অবস্থায় কেনো আমাদের হয়রানীর শিকার হতে হবে? – এমন টাই বললেন ১১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসরাত জাহান তানিয়া।

 

নগরীর ১১ নং ওয়ার্ড, বি আই পি শাখা সড়কে বেশ কিছুদিন ধরে চলছে বরিশাল সিটি কর্পোরপশনের হয়রানী। এখানকার ভবন গুলোর প্ল্যান অনুমোদিত থাকার পরও হঠাৎ করে তাদের কাছে চিঠি পাঠায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। চিঠিতে বলা হয় তাদের ভবন প্ল্যান অনুমোদিত নয়। অথচ, সরেজমিনে কোনো তদন্তকারী কর্মকর্তা না গিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দেয়।

 

এই বিষয়ে বিআইপি শাখা সড়ক নিবাসী মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, নোটিশে বলা হইছে তাদের কর্মকর্তা গেছে প্ল্যান দেখার জন্য। এই কথা সঠিক নয়। আদৌও সিটি কর্পোরেশনের কেউ প্ল্যান দেখার জন্য আসেনি। কিন্তু আমরা আজ সকলের বিসিসিতে কাগজপত্র জমা দিয়েছি।

 

তিনি আরো বলেন,বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ডের আওতাধীন জে. এল, ৫০নং বগড়া আলেকান্দা মৌজার এস, এ, ১৩৬৪০নং খতিয়ানের বাল ৬১৯০নং মাগের ১০০২৫ একর ভূমির উপর বিল্ডিং নির্মাণের লক্ষে (হোল্ডিং নং- ০৫৮৫-০০০) বরিশাল সিটি কর্পোরেশন হইতে ইং ০১/০২/২০১৭ তারিখ ১৮৫/পি ডব্লিউ নং প্লান পাস করি। উনার ধারাবাহিকতায় সিটি কর্পোরেশনের ইং ০৭/১০/২০১৮ তারিখের স্মারক নং- বিসিসি/ইডি/২৩/১৮ এর মাধ্যমে অনাপত্তি সনদ প্রাপ্ত হই। আমি অনুমোদিত প্লান অনুসারে ৪র্থ তলার বিল্ডিং নির্মাণ কাজ শুরু করিয়া ২য় তলার কাজ সম্পন্ন করিয়াছি। তবে ৪র্থ তলা পর্যন্ত ছাদের কাজ সম্পন্ন হইয়াছে। আমাদের এ জমিতে কোনো খাল ছিলো না। প্রকাশ থাকে যে, বিরোধীয় ভূমি সম্পর্কে বরিশালের বিজ্ঞ ৬৯ মুন্সেফী আদালতের দেওয়ানী ২৫৭/১৯৭৬নং মোকদ্দমার ইং ২৮/০৪/১৯৭৬ তারিখের রায় ও ডিক্রী অনুবলে বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক, ধরিশাল গংদের বিরুদ্ধে বরিশালের বিজ্ঞ ২য় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের দেওয়ানী আপীল ৪৮/২০১৫নং মোকদ্দমায় ইং ১২/০২/২০১৮ তারিখ রায় প্রাপ্ত হই। উক্ত রায় ডিক্রী বহাল ও বলবৎ আছে।

 

মহোদয় বিরোধীয় ভূমি সম্পর্কে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন ২৬৪৩/২০২২ নং মোকদ্দমায় মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক মেয়র, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে স্থিতিবস্থার আদেশ বহাল আছে। সর্বশেষ স্থিতিবস্থার আদেশ ইং ২৪/০৮/২০২৫ তারিখ ০৬ (ছয়) মাসের জন্য বর্ধিত হয়। উল্লেখিত রীট পিটিশনের নোটিশ মহোদয়ের কার্যালয় হইতে ইতিপূর্বে গৃহীত হইয়াছে।

 

এদিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল বারী বলেন,
এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সবার বাড়িই পরিদর্শন করি। যদি সব ঠিক থাকে,তাহলে সমস্যা নেই। অনুমোদনহীন প্ল্যান থাকলে সেই ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরো বলেন,, তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তে না গিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে, এটা এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করব।

Tag :
About Author Information

Barta Times bd

জনপ্রিয়

বরিশালে ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলা, আত্মরক্ষায় ফাঁকা গুলিবর্ষণ

বিআইপি শাখা সড়কে ভবনে প্ল্যান অনুমোদিত থাকার পরেও বিসিসির হয়রানী।

আপডেট সময় : ১২:৩৭:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃঃ আমাদের এখানে সবকিছু বৈধ, প্রত্যেক বাড়িওয়ালা প্ল্যান করো বাড়ি করেছে। বৈধ থাকা অবস্থায় কেনো আমাদের হয়রানীর শিকার হতে হবে? – এমন টাই বললেন ১১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসরাত জাহান তানিয়া।

 

নগরীর ১১ নং ওয়ার্ড, বি আই পি শাখা সড়কে বেশ কিছুদিন ধরে চলছে বরিশাল সিটি কর্পোরপশনের হয়রানী। এখানকার ভবন গুলোর প্ল্যান অনুমোদিত থাকার পরও হঠাৎ করে তাদের কাছে চিঠি পাঠায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। চিঠিতে বলা হয় তাদের ভবন প্ল্যান অনুমোদিত নয়। অথচ, সরেজমিনে কোনো তদন্তকারী কর্মকর্তা না গিয়ে চিঠি পাঠিয়ে দেয়।

 

এই বিষয়ে বিআইপি শাখা সড়ক নিবাসী মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, নোটিশে বলা হইছে তাদের কর্মকর্তা গেছে প্ল্যান দেখার জন্য। এই কথা সঠিক নয়। আদৌও সিটি কর্পোরেশনের কেউ প্ল্যান দেখার জন্য আসেনি। কিন্তু আমরা আজ সকলের বিসিসিতে কাগজপত্র জমা দিয়েছি।

 

তিনি আরো বলেন,বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ডের আওতাধীন জে. এল, ৫০নং বগড়া আলেকান্দা মৌজার এস, এ, ১৩৬৪০নং খতিয়ানের বাল ৬১৯০নং মাগের ১০০২৫ একর ভূমির উপর বিল্ডিং নির্মাণের লক্ষে (হোল্ডিং নং- ০৫৮৫-০০০) বরিশাল সিটি কর্পোরেশন হইতে ইং ০১/০২/২০১৭ তারিখ ১৮৫/পি ডব্লিউ নং প্লান পাস করি। উনার ধারাবাহিকতায় সিটি কর্পোরেশনের ইং ০৭/১০/২০১৮ তারিখের স্মারক নং- বিসিসি/ইডি/২৩/১৮ এর মাধ্যমে অনাপত্তি সনদ প্রাপ্ত হই। আমি অনুমোদিত প্লান অনুসারে ৪র্থ তলার বিল্ডিং নির্মাণ কাজ শুরু করিয়া ২য় তলার কাজ সম্পন্ন করিয়াছি। তবে ৪র্থ তলা পর্যন্ত ছাদের কাজ সম্পন্ন হইয়াছে। আমাদের এ জমিতে কোনো খাল ছিলো না। প্রকাশ থাকে যে, বিরোধীয় ভূমি সম্পর্কে বরিশালের বিজ্ঞ ৬৯ মুন্সেফী আদালতের দেওয়ানী ২৫৭/১৯৭৬নং মোকদ্দমার ইং ২৮/০৪/১৯৭৬ তারিখের রায় ও ডিক্রী অনুবলে বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক, ধরিশাল গংদের বিরুদ্ধে বরিশালের বিজ্ঞ ২য় অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের দেওয়ানী আপীল ৪৮/২০১৫নং মোকদ্দমায় ইং ১২/০২/২০১৮ তারিখ রায় প্রাপ্ত হই। উক্ত রায় ডিক্রী বহাল ও বলবৎ আছে।

 

মহোদয় বিরোধীয় ভূমি সম্পর্কে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন ২৬৪৩/২০২২ নং মোকদ্দমায় মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক মেয়র, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে স্থিতিবস্থার আদেশ বহাল আছে। সর্বশেষ স্থিতিবস্থার আদেশ ইং ২৪/০৮/২০২৫ তারিখ ০৬ (ছয়) মাসের জন্য বর্ধিত হয়। উল্লেখিত রীট পিটিশনের নোটিশ মহোদয়ের কার্যালয় হইতে ইতিপূর্বে গৃহীত হইয়াছে।

 

এদিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল বারী বলেন,
এটা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সবার বাড়িই পরিদর্শন করি। যদি সব ঠিক থাকে,তাহলে সমস্যা নেই। অনুমোদনহীন প্ল্যান থাকলে সেই ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরো বলেন,, তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তে না গিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে, এটা এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করব।