ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সচিবালয়ে অগ্নি#কাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ চরমোনাই পীরের

অনলাইন ডেস্ক:: সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। আজ বৃহস্পতিবার চরমোনাই মাদ্রাসা মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সভায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময় চরমোনাই পীর বলেন, সচিবালয়ে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আর কখনো ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। এমন ঘটনায় দেশের মানুষ আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। দেশের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ নথি যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ কতটুকু সুরক্ষিত-জনগণের মনে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সভায় চরমোনাই পীর আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা । এজন্য শুধু একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বসে থাকলে চলবে না, একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থাকে দিয়ে গভীরভাবে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারণ খুঁজে বের করে তার প্রতিবেদন প্রকাশ করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

প্রয়োজনে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দিয়ে পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের কর্মতৎপরতা, দায়িত্ব পালনের বিস্তারিত কিছু অনুসন্ধান করতে হবে। এদের মধ্যে কেউ দায়িত্ব পালনে উদাসীন বা অবহেলা করে থাকলে তাঁদেরকে আইনের আওতায় এনে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সেতু মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রাকটর ও কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পত্তি অর্জন করে আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছে এদের কোন সম্পৃক্ততা ঘটনার সাথে থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সকল স্থাপনার নিরাপত্তা আরও জোরদার ও নিচ্ছিদ্র করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সভায় আরও আলোচনা করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সহ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও সহকারী মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের প্রমূখ।

About Author Information

Barta Times bd

জনপ্রিয়

নলছিটিতে সেই পরকীয়া প্রেমিক প্রেমিকা অবশেষে পুলিশের খাঁচায়

সচিবালয়ে অগ্নি#কাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ চরমোনাই পীরের

আপডেট সময় : ০৬:২২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক:: সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। আজ বৃহস্পতিবার চরমোনাই মাদ্রাসা মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সভায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

এ সময় চরমোনাই পীর বলেন, সচিবালয়ে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আর কখনো ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। এমন ঘটনায় দেশের মানুষ আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। দেশের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ নথি যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ কতটুকু সুরক্ষিত-জনগণের মনে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সভায় চরমোনাই পীর আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা । এজন্য শুধু একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বসে থাকলে চলবে না, একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থাকে দিয়ে গভীরভাবে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারণ খুঁজে বের করে তার প্রতিবেদন প্রকাশ করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

প্রয়োজনে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দিয়ে পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের কর্মতৎপরতা, দায়িত্ব পালনের বিস্তারিত কিছু অনুসন্ধান করতে হবে। এদের মধ্যে কেউ দায়িত্ব পালনে উদাসীন বা অবহেলা করে থাকলে তাঁদেরকে আইনের আওতায় এনে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সেতু মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রাকটর ও কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পত্তি অর্জন করে আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছে এদের কোন সম্পৃক্ততা ঘটনার সাথে থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সকল স্থাপনার নিরাপত্তা আরও জোরদার ও নিচ্ছিদ্র করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সভায় আরও আলোচনা করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সহ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও সহকারী মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের প্রমূখ।