ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশাল জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি আওয়ামী দোসরমুক্ত করার আহ্বান সাধারণ কেমিস্টদের!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বরিশাল জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির বর্তমান পকেট কমিটি বাতিল করে অবিলম্বে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ কেমিস্টরা। তাদের অভিযোগ, সমিতির বর্তমান কমিটিতে বেশ কয়েকজন আওয়ামী দোসর ও লাইসেন্সবিহীন ব্যক্তি জায়গা পেয়েছেন, যা সমিতির গঠনতন্ত্রবিরোধী।

সাধারণ কেমিস্টরা জানান, সমিতির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক জাতীয় পার্টির রাজনীতি করলেও তার ড্রাগ লাইসেন্স কতটা বৈধ তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের আত্মীয় হওয়ায় বিতর্কিত অবস্থানে আছেন।

তারা জানান আমাদের এই কমিটি সমিতির গঠনতন্ত্রবিরোধী দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন দিয়ে সমিতি পরিচালনা করতে হবে অন্যথায় সংগঠনে সদস্যরা দ্রুত উক্ত কমিটির বিরুদ্ধে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করবে বলে জানান সদস্যরা।

অনেক সদস্যরা জানান বর্তমান বিএনপির নিস্কৃয় নেতারা পার্টনারশীপের মাধ্যমে বরিশাল জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সদস্য হয়েছেন যেখানে দেখাগেছে অধিকাংশ সদস্য বহুরুপী বারবার দল পরিবর্তকারী সমিতির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক সে আসলে যে কার তা বুঝা মুশকিল।

 

৫ আগস্টের পর দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পর বিএনপি নিস্কৃয় নেতাদের পাটনারশীপ করে পকেট কমিটি দিয়ে বরিশাল জেলা ও কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সদস্য করেছে।
সবচেয়ে আলোচিত সিনিয়র সহ—সভাপতি আঃ সালাম, ওয়েষ্টার্ন ফার্মেসীর মালিক। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের নগর সহ—সভাপতি ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি। জমি দখল মামলায় তিনি সম্প্রতি কারাভোগও করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, বরিশাল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অফিস রাতের আধারে দখলের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে চেম্বার অব কমার্স সভাপতি এবায়দুল হক চানকে ম্যানেজ করে বর্তমান কমিটি গঠনে ভূমিকা রাখেন।

অভিযোগ আরও রয়েছে, সহ—সভাপতি সৈয়দ আকবরের কোনো ড্রাগ লাইসেন্স নেই। সহ—সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বরিশালের পরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা। সদস্য আওরঙ্গজেব চানও চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতা এবং সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সজিবরের ভগ্নিপতি। অন্যদিকে, সদস্য আফজাল হোসেন তপুর কোনো ড্রাগ লাইসেন্স নেই। তার বন্ধু মাহমুদুল হাসান রণীর লাইসেন্সে নাম দেখিয়ে অংশীদারিত্ব দেখানো হয়েছে, যদিও আইনে এর কোনো বৈধতা নেই।

অভিযোগ রয়েছে, সহ—সভাপতি আঃ সালাম এর আগেও সমিতির অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। পিকনিক আয়োজনের নামে গত দুই বছরে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন সাধারণ কেমিস্টরা।

এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহজালাল বাচ্চুকেও তারা প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন এবং সালামকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন পটুয়াখালীর ব্যবসায়ী ও কেন্দ্রীয় পরিচালক মোঃ ইসতিয়াক উদ্দিন রাহাতের মাধ্যমে।
বরিশাল জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাবেক এক সদস্য বলেন বর্তমান পকেট কমিটি হয়েছে আমরা চাই দোসর ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের অনুসারীদের বাদ দিয়ে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্যদের নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠন পরিচালনা করা উচিত।

সমিতির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন আমি ব্যাস্ত আছি আপনার সাথে পরে যোগাযোগ করব,তবে পরে ফোন দিলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেনি তাই তার আর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সবচেয়ে আলোচিত সিনিয়র সহ—সভাপতি আঃ সালাম, ওয়েষ্টার্ন ফার্মেসীর মালিক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নগর সহ—সভাপতি ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি আঃ সালাম বলেন আমার ব্যাপারে আনিত অভিযোগ মিথ্যা আমাদের কমিটি সিদ্ধান্ত ঢাকা হেড অফিস থেকে হয়েছে যারা আমার ব্যাপারে এইসব কথা বার্তা বলে বেড়ান ও বিগত আমলে এই কমিটিতে ছিলেন এখন কেন এইসব কথা বলে। আর আমাদের এতা অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আমাদের সাথে সবার ছবি থাকতে পারে সংগঠনের স্বার্থে। আর সৈয়দ আকবর বর্তমানে ড্রাগ ব্যবসায় পাটনারশীপে মালিক হয়েছে।

সমিতির গঠনতন্ত্রবিরোধী ও আ’লীগের দোসরদের সদস্য নিয়ে সমিতির গঠনের বিষয়ে জানতে মাইনুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফোন দিলে রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সাধারণ কেমিস্টরা অবিলম্বে এই পকেট কমিটি বাতিল করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ ও বৈধ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

Tag :
About Author Information

Barta Times bd

জনপ্রিয়

২২ নং ওয়ার্ডে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে পুরস্কার বিতরণ

বরিশাল জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি আওয়ামী দোসরমুক্ত করার আহ্বান সাধারণ কেমিস্টদের!

আপডেট সময় : ০৭:১৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বরিশাল জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির বর্তমান পকেট কমিটি বাতিল করে অবিলম্বে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ কেমিস্টরা। তাদের অভিযোগ, সমিতির বর্তমান কমিটিতে বেশ কয়েকজন আওয়ামী দোসর ও লাইসেন্সবিহীন ব্যক্তি জায়গা পেয়েছেন, যা সমিতির গঠনতন্ত্রবিরোধী।

সাধারণ কেমিস্টরা জানান, সমিতির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক জাতীয় পার্টির রাজনীতি করলেও তার ড্রাগ লাইসেন্স কতটা বৈধ তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের আত্মীয় হওয়ায় বিতর্কিত অবস্থানে আছেন।

তারা জানান আমাদের এই কমিটি সমিতির গঠনতন্ত্রবিরোধী দ্রুত নির্বাচন দিয়ে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন দিয়ে সমিতি পরিচালনা করতে হবে অন্যথায় সংগঠনে সদস্যরা দ্রুত উক্ত কমিটির বিরুদ্ধে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ করবে বলে জানান সদস্যরা।

অনেক সদস্যরা জানান বর্তমান বিএনপির নিস্কৃয় নেতারা পার্টনারশীপের মাধ্যমে বরিশাল জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সদস্য হয়েছেন যেখানে দেখাগেছে অধিকাংশ সদস্য বহুরুপী বারবার দল পরিবর্তকারী সমিতির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক সে আসলে যে কার তা বুঝা মুশকিল।

 

৫ আগস্টের পর দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ার পর বিএনপি নিস্কৃয় নেতাদের পাটনারশীপ করে পকেট কমিটি দিয়ে বরিশাল জেলা ও কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সদস্য করেছে।
সবচেয়ে আলোচিত সিনিয়র সহ—সভাপতি আঃ সালাম, ওয়েষ্টার্ন ফার্মেসীর মালিক। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের নগর সহ—সভাপতি ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি। জমি দখল মামলায় তিনি সম্প্রতি কারাভোগও করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, বরিশাল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অফিস রাতের আধারে দখলের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে চেম্বার অব কমার্স সভাপতি এবায়দুল হক চানকে ম্যানেজ করে বর্তমান কমিটি গঠনে ভূমিকা রাখেন।

অভিযোগ আরও রয়েছে, সহ—সভাপতি সৈয়দ আকবরের কোনো ড্রাগ লাইসেন্স নেই। সহ—সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বরিশালের পরিচিত আওয়ামী লীগ নেতা। সদস্য আওরঙ্গজেব চানও চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতা এবং সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সজিবরের ভগ্নিপতি। অন্যদিকে, সদস্য আফজাল হোসেন তপুর কোনো ড্রাগ লাইসেন্স নেই। তার বন্ধু মাহমুদুল হাসান রণীর লাইসেন্সে নাম দেখিয়ে অংশীদারিত্ব দেখানো হয়েছে, যদিও আইনে এর কোনো বৈধতা নেই।

অভিযোগ রয়েছে, সহ—সভাপতি আঃ সালাম এর আগেও সমিতির অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। পিকনিক আয়োজনের নামে গত দুই বছরে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন সাধারণ কেমিস্টরা।

এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহজালাল বাচ্চুকেও তারা প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন এবং সালামকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন পটুয়াখালীর ব্যবসায়ী ও কেন্দ্রীয় পরিচালক মোঃ ইসতিয়াক উদ্দিন রাহাতের মাধ্যমে।
বরিশাল জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাবেক এক সদস্য বলেন বর্তমান পকেট কমিটি হয়েছে আমরা চাই দোসর ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের অনুসারীদের বাদ দিয়ে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্যদের নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠন পরিচালনা করা উচিত।

সমিতির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন আমি ব্যাস্ত আছি আপনার সাথে পরে যোগাযোগ করব,তবে পরে ফোন দিলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেনি তাই তার আর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সবচেয়ে আলোচিত সিনিয়র সহ—সভাপতি আঃ সালাম, ওয়েষ্টার্ন ফার্মেসীর মালিক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নগর সহ—সভাপতি ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ—সভাপতি আঃ সালাম বলেন আমার ব্যাপারে আনিত অভিযোগ মিথ্যা আমাদের কমিটি সিদ্ধান্ত ঢাকা হেড অফিস থেকে হয়েছে যারা আমার ব্যাপারে এইসব কথা বার্তা বলে বেড়ান ও বিগত আমলে এই কমিটিতে ছিলেন এখন কেন এইসব কথা বলে। আর আমাদের এতা অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আমাদের সাথে সবার ছবি থাকতে পারে সংগঠনের স্বার্থে। আর সৈয়দ আকবর বর্তমানে ড্রাগ ব্যবসায় পাটনারশীপে মালিক হয়েছে।

সমিতির গঠনতন্ত্রবিরোধী ও আ’লীগের দোসরদের সদস্য নিয়ে সমিতির গঠনের বিষয়ে জানতে মাইনুল হক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফোন দিলে রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সাধারণ কেমিস্টরা অবিলম্বে এই পকেট কমিটি বাতিল করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ ও বৈধ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।