ঢাকা ০৫:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশাল নগরীর স্টেডিয়াম কলোনীতে এলাকাবাসীর রাত কাটে আতংকে -বেড়েছে চুরি-ছিনতাই,মালামাল উদ্ধার মামলা দায়ের।

Oplus_16908288

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীর স্টেডিয়াম কলোনি এলাকার মানুষের আতংকে কাটে রাত।

দিন দিন চুরি ছিনতাই- লুটপাট বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন ঘটছে এমন অনেক ঘটনা, প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন সুধীজনদের।

বরিশাল নগরীর ১১ নং ওয়ার্ড স্টেডিয়াম কলোনিতে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস তবে বাহির অঞ্চলের মানুষ এ সব এলাকায় কম খরচে বাসা ভাড়া হওয়াতে দেশের বিভিন্ন জেলার অপরাধী এসে আশ্রয় নেন। আর সেই সুবাদে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের ছত্রছায়ায় ঘরে ওঠে একটি অপরাধের সম্রাজ্য।

একাধিক সূত্রে জানা যায় স্টেডিয়াম কলোনিতে গড়ে উঠা এলাকার দুই আতংকের নাম ফেরদৌস ও রাজা। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এতো মামলার আসামি থাকলেও এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে মোটেও পিচপা হয় না তারা। তাদের আছে একঝাঁক তরুণ ছিঁচকে চোরা বাহিনী। পুরো ১১ নং ওয়ার্ডের যত প্রকার

চুরি-ছিনতাই, চাঁদাবাজি,মাদক বিক্রি কি নেই তাদের দখলে।

সম্প্রতি স্টেডিয়াম কলোনি সংলগ্ন সিংঙ্গারা পয়েন্ট সংলগ্ন ইব্রাহিম নামে এক ব্যাক্তির ব্যটারী চুরি করে অভিযুক্ত হয়েছেন স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত যুবদল নেতা পরিচয় দানকারী মো : রাজা মিয়া তার ছেলে রিফাত।

কোতোয়ালি থানার অভিযোগ এবং ভুক্তভোগী মো : ইব্রাহিম এর সুত্রে জানা গেছে স্টেডিয়াম কলোনির এলাকার বাসিন্দা রাজা মিয়ার ছেলে রিফাত, শামীম, নয়ন,হীরা,বাহাদুর সহ বেশ কয়েকজন সংঘবদ্ধ চোর ওই এলাকার সকল অপকর্মের সাথে জড়িত এই চক্রটি।

ইব্রাহিম আরও বলেন রাজা ভাই এর সাথে কথা হয়েছে অভিযোগ তুলে নিতে বলছেন। তিনি ব্যাটারী চুরির ঘটনায় তার পক্ষ থেকে আমাকে জরিমানার টাকা দিয়ে দিবে। আমিও তাতে রাজি হয়েছি।
উল্লেখ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করে। সূত্রে জানা যায় আটক দুজন ওই রাজা – ফেরদৌস বাহিনীর লোক।

ব্যাটারী অনুসন্ধানে গিয়ে মিলেছে চাঞ্চল্যকর নতুন আরও তথ্য গত ২৫ মে স্টেডিয়াম কলোনি সিংঙ্গারা পয়েন্ট মোড়ের একটি ভাংঙ্গারী দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ভিআইপি কলোনি)ভিতর থেকে চুরি হওয়া বড় বড় স্টিল সিট ও লোহার রড। যা নাকি বিভিন্ন বেইলি ব্রিজে ব্যাবহার করা হতো।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিযোগ তুলে বলেন এই চুরির কাজ ফেরদৌস,রাজা, বাহাদুর এদের লোকজন ছাড়া অন্য কারো দারা সম্ভব না।

গত ৫ আগস্ট ফ্যসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর এই দোকান মালিক স্থানীয় কাউন্সিলর মজিবর রহমানের লোক হওয়ার কারনে সেও পালিয়েছে।

তার কিছু দিন যেতে না যেতে ওই দোকান দখল করে নেয় ফেরদৌস-রাজা বাহিনী। তারা নিয়ে পুরনো ভাংঙ্গারী মালামালের ব্যাবসা শুরু করে। ওই দোকান থেকে গত মঙ্গলবার ২৬মে বিপুল পরিমাণ চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

যার ভিডিও ফুটেজ ইতি মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে,

ওই ঘটনায় তখন কাউকে আটক করতে পারিনি পুলিশ। তবে পরদিন ২৭ শে মে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেছেন।

এবিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো মিজানুর রহমান জানান বেশ কিছু দিন ধরে ওই এলাকায় চুরি- ছিনতাই- মাদক বেড়েছে। অভিযানও চলছে। এছাড়া চুরির মামলা হয়েছে,গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

Tag :
About Author Information

Barta Times bd

জনপ্রিয়

নলছিটিতে সেই পরকীয়া প্রেমিক প্রেমিকা অবশেষে পুলিশের খাঁচায়

বরিশাল নগরীর স্টেডিয়াম কলোনীতে এলাকাবাসীর রাত কাটে আতংকে -বেড়েছে চুরি-ছিনতাই,মালামাল উদ্ধার মামলা দায়ের।

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীর স্টেডিয়াম কলোনি এলাকার মানুষের আতংকে কাটে রাত।

দিন দিন চুরি ছিনতাই- লুটপাট বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন ঘটছে এমন অনেক ঘটনা, প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন সুধীজনদের।

বরিশাল নগরীর ১১ নং ওয়ার্ড স্টেডিয়াম কলোনিতে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস তবে বাহির অঞ্চলের মানুষ এ সব এলাকায় কম খরচে বাসা ভাড়া হওয়াতে দেশের বিভিন্ন জেলার অপরাধী এসে আশ্রয় নেন। আর সেই সুবাদে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের ছত্রছায়ায় ঘরে ওঠে একটি অপরাধের সম্রাজ্য।

একাধিক সূত্রে জানা যায় স্টেডিয়াম কলোনিতে গড়ে উঠা এলাকার দুই আতংকের নাম ফেরদৌস ও রাজা। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে। এতো মামলার আসামি থাকলেও এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে মোটেও পিচপা হয় না তারা। তাদের আছে একঝাঁক তরুণ ছিঁচকে চোরা বাহিনী। পুরো ১১ নং ওয়ার্ডের যত প্রকার

চুরি-ছিনতাই, চাঁদাবাজি,মাদক বিক্রি কি নেই তাদের দখলে।

সম্প্রতি স্টেডিয়াম কলোনি সংলগ্ন সিংঙ্গারা পয়েন্ট সংলগ্ন ইব্রাহিম নামে এক ব্যাক্তির ব্যটারী চুরি করে অভিযুক্ত হয়েছেন স্থানীয় রাজনীতির সাথে জড়িত যুবদল নেতা পরিচয় দানকারী মো : রাজা মিয়া তার ছেলে রিফাত।

কোতোয়ালি থানার অভিযোগ এবং ভুক্তভোগী মো : ইব্রাহিম এর সুত্রে জানা গেছে স্টেডিয়াম কলোনির এলাকার বাসিন্দা রাজা মিয়ার ছেলে রিফাত, শামীম, নয়ন,হীরা,বাহাদুর সহ বেশ কয়েকজন সংঘবদ্ধ চোর ওই এলাকার সকল অপকর্মের সাথে জড়িত এই চক্রটি।

ইব্রাহিম আরও বলেন রাজা ভাই এর সাথে কথা হয়েছে অভিযোগ তুলে নিতে বলছেন। তিনি ব্যাটারী চুরির ঘটনায় তার পক্ষ থেকে আমাকে জরিমানার টাকা দিয়ে দিবে। আমিও তাতে রাজি হয়েছি।
উল্লেখ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর যৌথ বাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করে। সূত্রে জানা যায় আটক দুজন ওই রাজা – ফেরদৌস বাহিনীর লোক।

ব্যাটারী অনুসন্ধানে গিয়ে মিলেছে চাঞ্চল্যকর নতুন আরও তথ্য গত ২৫ মে স্টেডিয়াম কলোনি সিংঙ্গারা পয়েন্ট মোড়ের একটি ভাংঙ্গারী দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (ভিআইপি কলোনি)ভিতর থেকে চুরি হওয়া বড় বড় স্টিল সিট ও লোহার রড। যা নাকি বিভিন্ন বেইলি ব্রিজে ব্যাবহার করা হতো।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিযোগ তুলে বলেন এই চুরির কাজ ফেরদৌস,রাজা, বাহাদুর এদের লোকজন ছাড়া অন্য কারো দারা সম্ভব না।

গত ৫ আগস্ট ফ্যসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর এই দোকান মালিক স্থানীয় কাউন্সিলর মজিবর রহমানের লোক হওয়ার কারনে সেও পালিয়েছে।

তার কিছু দিন যেতে না যেতে ওই দোকান দখল করে নেয় ফেরদৌস-রাজা বাহিনী। তারা নিয়ে পুরনো ভাংঙ্গারী মালামালের ব্যাবসা শুরু করে। ওই দোকান থেকে গত মঙ্গলবার ২৬মে বিপুল পরিমাণ চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

যার ভিডিও ফুটেজ ইতি মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে,

ওই ঘটনায় তখন কাউকে আটক করতে পারিনি পুলিশ। তবে পরদিন ২৭ শে মে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেছেন।

এবিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো মিজানুর রহমান জানান বেশ কিছু দিন ধরে ওই এলাকায় চুরি- ছিনতাই- মাদক বেড়েছে। অভিযানও চলছে। এছাড়া চুরির মামলা হয়েছে,গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।