ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেহেন্দিগঞ্জে ১২- নং কাদিরাবাদ সঃ প্রাঃ বিঃ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ।

মাসুদ আহমেদ
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার ১২- নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও শিক্ষকদের সাথে অসৎ আচরণ সহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত দিয়েছেন একই স্কুলের সহকারি শিক্ষক শাহিন চৌধুরী।

শাহিন চৌধুরী বলেন আমি কাদিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। আমাদের অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন স্যার প্রায়সই আমি সহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। স্কুলের উন্নয়নের নামে যে বরাদ্দ আসে তা দিয়ে আংশিক কাজ করিয়ে বাকি টাকা সে আত্মসাৎ করেছে।শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ অর্থ নেয়া এবং পঞ্চম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে প্রত্যয়ন বাবদ অর্থ নিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় সে বেশ কিছুদিন আগে আমাদেরই স্কুলের দুই কোমলমতি শিক্ষার্থীকে বেধড়কভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। তার এই স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আমি লিখিতভাবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছি। এখন দেখি কি হয়।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষক,শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।

অনেকেই বলেন আলমগীর স্যারের বিরুদ্ধে আমরা প্রকাশ্যে কথা বলতে পারব না, কারণ হিসেবে জানতে চাইলে তারা বলেন তার বিরুদ্ধে কথা বলে আমরা কোন ঝামেলায় জড়াতে চাই না।
স্কুল উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া সত্বেও কেন উন্নয়ন হয়নি, শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনা, ভর্তি ও প্রত্যয়ন বাবদ অর্থ নেয়া সহ নানাবিধ অনিয়মের বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করা হলে তার কোন সদুত্তর না দিয়ে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থেকে পরবর্তীতে বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিতো সকল অভিযোগ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন।

এ প্রসঙ্গে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরিশাল (সদর) এ কে এম আল মামুন এর কাছে ভর্তি ও প্রত্যয়ন বাবদ কোন অর্থ নেয়া যাবে কিনা অথবা এর কতটুকু বৈধতা আছে, জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন কোন শিক্ষকই ভর্তি এবং প্রত্যয়ন বাবদ অর্থ আদায় করতে পারবে না। যদি কেউ করে থাকে তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন যদিও এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি, তবে সহকারী শিক্ষক শাহিন চৌধুরী আমার কাছে প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের অসৎ আচরণ সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, তবে অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
About Author Information

Barta Times bd

জনপ্রিয়

নলছিটিতে সেই পরকীয়া প্রেমিক প্রেমিকা অবশেষে পুলিশের খাঁচায়

মেহেন্দিগঞ্জে ১২- নং কাদিরাবাদ সঃ প্রাঃ বিঃ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ।

আপডেট সময় : ০৫:০৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

মাসুদ আহমেদ
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার ১২- নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও শিক্ষকদের সাথে অসৎ আচরণ সহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত দিয়েছেন একই স্কুলের সহকারি শিক্ষক শাহিন চৌধুরী।

শাহিন চৌধুরী বলেন আমি কাদিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। আমাদের অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন স্যার প্রায়সই আমি সহ অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। স্কুলের উন্নয়নের নামে যে বরাদ্দ আসে তা দিয়ে আংশিক কাজ করিয়ে বাকি টাকা সে আত্মসাৎ করেছে।শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি বাবদ অর্থ নেয়া এবং পঞ্চম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে প্রত্যয়ন বাবদ অর্থ নিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় সে বেশ কিছুদিন আগে আমাদেরই স্কুলের দুই কোমলমতি শিক্ষার্থীকে বেধড়কভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। তার এই স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আমি লিখিতভাবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছি। এখন দেখি কি হয়।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষক,শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।

অনেকেই বলেন আলমগীর স্যারের বিরুদ্ধে আমরা প্রকাশ্যে কথা বলতে পারব না, কারণ হিসেবে জানতে চাইলে তারা বলেন তার বিরুদ্ধে কথা বলে আমরা কোন ঝামেলায় জড়াতে চাই না।
স্কুল উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া সত্বেও কেন উন্নয়ন হয়নি, শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনা, ভর্তি ও প্রত্যয়ন বাবদ অর্থ নেয়া সহ নানাবিধ অনিয়মের বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করা হলে তার কোন সদুত্তর না দিয়ে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থেকে পরবর্তীতে বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিতো সকল অভিযোগ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন।

এ প্রসঙ্গে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরিশাল (সদর) এ কে এম আল মামুন এর কাছে ভর্তি ও প্রত্যয়ন বাবদ কোন অর্থ নেয়া যাবে কিনা অথবা এর কতটুকু বৈধতা আছে, জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন কোন শিক্ষকই ভর্তি এবং প্রত্যয়ন বাবদ অর্থ আদায় করতে পারবে না। যদি কেউ করে থাকে তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন যদিও এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি, তবে সহকারী শিক্ষক শাহিন চৌধুরী আমার কাছে প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের অসৎ আচরণ সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, তবে অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।