ঢাকা ০৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরা ইউনিয়নের দম্পতি’র বিরুদ্ধে তিন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে-

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানাধীন চাঁদপুরা ইউনিয়নের কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামের রফিক সরদার ও তার স্ত্রী সনিয়া বেগমের বিরুদ্বে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে “মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বন্ধ এবং অন্যায় ভাবে দখলকৃত জমি মুক্ত করণ প্রসঙ্গে” ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করেছেন বন্দর থানাধীন কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিন মুন্সি। জামাল উদ্দিন মুন্সি ১৪ই মে বুধবার বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন- আমারা চার ভাই ২০১৮ সালে বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানাধীন চাঁদপুরা ইউনিয়ন কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামের রফিক সরদার ও তার স্ত্রীকে হেবা বীল এওয়াজ দলিল প্রদান করি। দলিলে জমির চৌহদ্দি দেয়া আছে এবং ২০১৮ সাল থেকে চৌহদ্দি দেয়া জমি তারা ভোগ দখল করতেছে।

 

হঠাৎ করে ২০২৫ সালের জানুয়ারী মাসে রফিক সরদার ও তার স্ত্রী আমার রাস্থার পাশের একটি ভালো জমিতে মাটি কাটা শুরু করে। জিজ্ঞাসা করতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং রফিক সরদার ও তার স্ত্রী বলে এখন থেকে এই জমি আমরাই ভোগদখল করবো।

 

পররর্তিতে মানসম্মানের কথা চিন্তা করে আমার মেঝ ভাই নুরুল ইসলাম মুন্সি কে দিয়ে বন্দর থানায় অভিযোগ করি এবং থানা থেকে শালিশ মিমাংশার জন্য তারিখ নির্ধারন করে। আমরা শালিশদার নিযুক্ত করি কিন্তু শালিশীর আগের দিন সন্ধাবেলা রফিক সরদার শালিশীতে উপস্থিত থাকবেনা বলে থানায় জানিয়ে আসে। পরবর্তিতে আমরা মিমাংসার জন্য আদালতের স্বরনাপন্ন হই। পরবর্তীতে আদালত উক্ত জমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়। রফিক সরদার ও তার স্ত্রী অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে রাতের আধারে ঐ স্থানে ঘর তোলে। ঘর তোলার বিষয় জানতে চাইলে আমাদেরকে পুনরায় অকথ্য ভাষায় গলিগালাজ করে এবং আমরা আদলতে কোন গেলাম এজন্য মামলায় ফাসানোর হুমকি দেয়।

 

এরই ধারাবাহিকতায় আমার ভাই নুরুল ইসলাম মুন্সি আমার বাক প্রতিবন্ধি ভাই কামাল উদ্দিন এবং আমি জামাল উদ্দিন এবং আমার বড় ভাইয়ের ২ ছেলের বিরুদ্ধে ২টি মিথ্যা মামলা করেন। মামলা নং মোকাম বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত বরিশাল (১০৮/২০২৫ বন্দর) ও মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (৩৫৩/২০২৫ বন্দর)। আমি চাকুরীর সুবাদে দীর্ঘ ২০-২৫ বছর বাড়ির বাহিরে কর্মস্থলে থাকি। ঈদ, কুরবানী ছাড়া বাড়ি আসি না। একই ভাবে আমার বড় ভাইয়ের দুই ছেলে যারা ২০০৬ সাল থেকে পরিবার সহ ঢাকায় বসবাস করে। তাদেরকেও ২ টি মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়। আমার ভাই নুরুল ইসলামও শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমার আপন দুই ভাই নুরুল ইসলাম মুন্সী ও বাক প্রতিবন্ধি কামাল উদ্দিন এই দুই জন বাড়িতে থাকে। বর্তমানে তাদের উপর হামলা করা সহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করার পায়তারা করছে। অনুমান করা যাচ্ছে এর পিছনে কেহ ইন্দন দিচ্ছে।

 

এমতঅবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি। আমরা আপনার হস্থক্ষেপের মাধ্যমে এর প্রতিকার চাই। আমাদের মত নিরীহ লোকদের একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বন্ধের, অন্যায় ভাবে দখলকৃত আমাদের জমি দখল মুক্ত করার এবং ইন্দন দ্বাতাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য আপনার সহযোগীতা কামনা করি।

Tag :
About Author Information

Barta Times bd

জনপ্রিয়

নলছিটিতে সেই পরকীয়া প্রেমিক প্রেমিকা অবশেষে পুলিশের খাঁচায়

চাঁদপুরা ইউনিয়নের দম্পতি’র বিরুদ্ধে তিন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৩:৫৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে-

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানাধীন চাঁদপুরা ইউনিয়নের কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামের রফিক সরদার ও তার স্ত্রী সনিয়া বেগমের বিরুদ্বে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে “মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বন্ধ এবং অন্যায় ভাবে দখলকৃত জমি মুক্ত করণ প্রসঙ্গে” ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করেছেন বন্দর থানাধীন কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামের জামাল উদ্দিন মুন্সি। জামাল উদ্দিন মুন্সি ১৪ই মে বুধবার বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন- আমারা চার ভাই ২০১৮ সালে বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানাধীন চাঁদপুরা ইউনিয়ন কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামের রফিক সরদার ও তার স্ত্রীকে হেবা বীল এওয়াজ দলিল প্রদান করি। দলিলে জমির চৌহদ্দি দেয়া আছে এবং ২০১৮ সাল থেকে চৌহদ্দি দেয়া জমি তারা ভোগ দখল করতেছে।

 

হঠাৎ করে ২০২৫ সালের জানুয়ারী মাসে রফিক সরদার ও তার স্ত্রী আমার রাস্থার পাশের একটি ভালো জমিতে মাটি কাটা শুরু করে। জিজ্ঞাসা করতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং রফিক সরদার ও তার স্ত্রী বলে এখন থেকে এই জমি আমরাই ভোগদখল করবো।

 

পররর্তিতে মানসম্মানের কথা চিন্তা করে আমার মেঝ ভাই নুরুল ইসলাম মুন্সি কে দিয়ে বন্দর থানায় অভিযোগ করি এবং থানা থেকে শালিশ মিমাংশার জন্য তারিখ নির্ধারন করে। আমরা শালিশদার নিযুক্ত করি কিন্তু শালিশীর আগের দিন সন্ধাবেলা রফিক সরদার শালিশীতে উপস্থিত থাকবেনা বলে থানায় জানিয়ে আসে। পরবর্তিতে আমরা মিমাংসার জন্য আদালতের স্বরনাপন্ন হই। পরবর্তীতে আদালত উক্ত জমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়। রফিক সরদার ও তার স্ত্রী অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে রাতের আধারে ঐ স্থানে ঘর তোলে। ঘর তোলার বিষয় জানতে চাইলে আমাদেরকে পুনরায় অকথ্য ভাষায় গলিগালাজ করে এবং আমরা আদলতে কোন গেলাম এজন্য মামলায় ফাসানোর হুমকি দেয়।

 

এরই ধারাবাহিকতায় আমার ভাই নুরুল ইসলাম মুন্সি আমার বাক প্রতিবন্ধি ভাই কামাল উদ্দিন এবং আমি জামাল উদ্দিন এবং আমার বড় ভাইয়ের ২ ছেলের বিরুদ্ধে ২টি মিথ্যা মামলা করেন। মামলা নং মোকাম বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত বরিশাল (১০৮/২০২৫ বন্দর) ও মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (৩৫৩/২০২৫ বন্দর)। আমি চাকুরীর সুবাদে দীর্ঘ ২০-২৫ বছর বাড়ির বাহিরে কর্মস্থলে থাকি। ঈদ, কুরবানী ছাড়া বাড়ি আসি না। একই ভাবে আমার বড় ভাইয়ের দুই ছেলে যারা ২০০৬ সাল থেকে পরিবার সহ ঢাকায় বসবাস করে। তাদেরকেও ২ টি মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়। আমার ভাই নুরুল ইসলামও শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমার আপন দুই ভাই নুরুল ইসলাম মুন্সী ও বাক প্রতিবন্ধি কামাল উদ্দিন এই দুই জন বাড়িতে থাকে। বর্তমানে তাদের উপর হামলা করা সহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করার পায়তারা করছে। অনুমান করা যাচ্ছে এর পিছনে কেহ ইন্দন দিচ্ছে।

 

এমতঅবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি। আমরা আপনার হস্থক্ষেপের মাধ্যমে এর প্রতিকার চাই। আমাদের মত নিরীহ লোকদের একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বন্ধের, অন্যায় ভাবে দখলকৃত আমাদের জমি দখল মুক্ত করার এবং ইন্দন দ্বাতাদের খুজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য আপনার সহযোগীতা কামনা করি।