ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরা ইউনিয়নে বাক প্রতিবন্ধী সহ ৫ জনের বিরুদ্বে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানাধীন চাঁদপুরা ইউনিয়ন পরিষদ কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামের রফিক সরদার ও তার স্ত্রী ছনিয়া বেগম এর বিরুদ্ধে বিরোধীয় ভূমি দখল চেষ্টা, মাটি কেটে ভড়াট করে বসত বাড়ি উঠানোর চেষ্টার প্রতিবাদে করা মামলার বাদী সহ তার পরিবারের উপর পরপর ২টি মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মামলায় আসামী করা হয় বাক প্রতিবন্ধী কামাল উদ্দিন সহ আপন ৩ ভাই ও অপর ভাই মৃত আবুল কালাম মুন্সির ২ ছেলে রুমান মুন্সি ও রমি মুন্সি। ছনিয়া বেগম কর্তৃক মোকাম বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত বরিশাল (১০৮/২০২৫ বন্দর) ও মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (৩৫৩/২০২৫ বন্দর) দুটি মামলায় একই পরিবারের মোট পাঁচজনের বিরুদ্বে মামলা করেছেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামের মৃত সরাফ উদ্দিন মুন্সির তিন ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্সী, জামাল উদ্দিন, ও বাকপ্রতিবন্ধী কামাল উদ্দিন সহ অপর ভাই মৃত কালাম মুন্সির দুই ছেলে রুমান মুন্সি ও রমি মুন্সিকে।

দুইটি মামলার তিন নাম্বার আসামী জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান- আমারা চার ভাই ২০১৮ সালে রফিক সরদার ও তার স্ত্রীকে যে জমির দলিল প্রদান করি সেই জমির চৌহদ্দি হেবা বীল এওয়াজ দলিলে দেয়া আছে এবং ২০১৮ সাল থেকে চৌহদ্দি দেয়া জমি তারা ভোগ দখল করতেছে। হঠাৎ করে ২০২৫ সালের জানুয়ারী মাসে তারা আমার রাস্তার পাশের একটি ভালো জমিতে মাটি কাটা শুরু করে।

জিজ্ঞাসা করতে গেলে গালিগালাজ করে এবং বলে এখন থেকে এই জমি সে ভোগদখল করবে। পররর্তিতে মানসম্মানের কথা চিন্তা করে থানায় অভিযোগ করি এবং থানা থেকে শালিশ মিমাংশার জন্য তারিখ নির্ধারন করে এবং আমরা শালিশদার নিযুক্ত করি কিন্তু শালিশীর আগের দিন রফিক সরদার শালিশীতে উপস্থিত থাকবেনা বলে থানায় জানিয়ে আসে। পরবর্তিতে আমরা মিমাংসার জন্য আদালতের স্বরনাপন্ন হলে আদালত উক্ত জমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু রফিক সরদার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে রাতের আধারে ঐ স্থানে ঘর তোলে।

ঘর তোলার বিষয় জানতে চাইলে আমাদেরকে পুনরায় গলিগালাজ করে এবং আমরা আদলতে কোন গেলাম এজন্য মামলায় ফাসানোর হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমার ভাই নুরুল ইসলাম মুন্সি আমার বাক প্রতিবন্ধি ভাই কামাল উদ্দিন এবং আমি জামাল উদ্দিন এবং আমার বড় ভাইয়ের ২ ছেলের বিরুদ্বে ২টি মিথ্যা মামলা করেন। আমি চাকুরীর সুবাদে দীর্ঘ ২০-২৫ বছর বাড়ির বাহিরে কর্মস্থলে থাকি। ঈদ, কুরবানী ছাড়া বাড়ি আসি না। একই ভাবে আমার বড় ভাইয়ের দুই ছেলে যারা ২০০৬ সাল থেকে পরিবার সহ ঢাকায় বসবাস করে তাদেরকেও ২ টি মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়। এলাকার সকল লোককে জিজ্ঞাসা করে দেখেন মিথ্যা মামালা দুটিতে যে তারিখ বলা বলা হয়েছে ঐ তারিখে আমাকে অথবা ভাইয়ের ছেলেদের কেউ এলাকায় দেখেছে কিনা ? অথবা জমির আশে-পাশে কিংবা বাদীদের সাথে কথা বলতে দেখেছে কিনা ? আমি সবসময় ভয়ে থাকি আমার ভাই নুরুল ইসলামও শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমার আপন দুই ভাই নুরুল ইসলাম মুন্সী ও বাক প্রতিবন্ধি কামাল উদ্দিন এই দুই জন বাড়িতে থাকে। তাদের উপর হামলা করে আবার অন্য কোন মিথ্যা মামলায় আমাদের ফাসিয়ে না দেয়।

আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এর প্রতিকার চাই। আমাদের মত নিরিহ লোকদের একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বন্ধের এবং অন্যায় ভাবে দখলকৃত আমাদের জমি দখল মুক্ত করার জন্য দ্রুত সাংবাদিক ও প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন। তবে অভিযোগের বিষয় জানার জন্য মামলার বাদী ছনিয়া বেগমের সাথে কথা বলার জন্য (০১৯২৪-….. ২০৪) নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও (রাত ৮টা) ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

Tag :
About Author Information

Barta Times bd

জনপ্রিয়

নলছিটিতে সেই পরকীয়া প্রেমিক প্রেমিকা অবশেষে পুলিশের খাঁচায়

চাঁদপুরা ইউনিয়নে বাক প্রতিবন্ধী সহ ৫ জনের বিরুদ্বে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল সদর উপজেলার বন্দর থানাধীন চাঁদপুরা ইউনিয়ন পরিষদ কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামের রফিক সরদার ও তার স্ত্রী ছনিয়া বেগম এর বিরুদ্ধে বিরোধীয় ভূমি দখল চেষ্টা, মাটি কেটে ভড়াট করে বসত বাড়ি উঠানোর চেষ্টার প্রতিবাদে করা মামলার বাদী সহ তার পরিবারের উপর পরপর ২টি মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মামলায় আসামী করা হয় বাক প্রতিবন্ধী কামাল উদ্দিন সহ আপন ৩ ভাই ও অপর ভাই মৃত আবুল কালাম মুন্সির ২ ছেলে রুমান মুন্সি ও রমি মুন্সি। ছনিয়া বেগম কর্তৃক মোকাম বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত বরিশাল (১০৮/২০২৫ বন্দর) ও মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (৩৫৩/২০২৫ বন্দর) দুটি মামলায় একই পরিবারের মোট পাঁচজনের বিরুদ্বে মামলা করেছেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে কুন্দিয়াল পাড়া গ্রামের মৃত সরাফ উদ্দিন মুন্সির তিন ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্সী, জামাল উদ্দিন, ও বাকপ্রতিবন্ধী কামাল উদ্দিন সহ অপর ভাই মৃত কালাম মুন্সির দুই ছেলে রুমান মুন্সি ও রমি মুন্সিকে।

দুইটি মামলার তিন নাম্বার আসামী জামাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান- আমারা চার ভাই ২০১৮ সালে রফিক সরদার ও তার স্ত্রীকে যে জমির দলিল প্রদান করি সেই জমির চৌহদ্দি হেবা বীল এওয়াজ দলিলে দেয়া আছে এবং ২০১৮ সাল থেকে চৌহদ্দি দেয়া জমি তারা ভোগ দখল করতেছে। হঠাৎ করে ২০২৫ সালের জানুয়ারী মাসে তারা আমার রাস্তার পাশের একটি ভালো জমিতে মাটি কাটা শুরু করে।

জিজ্ঞাসা করতে গেলে গালিগালাজ করে এবং বলে এখন থেকে এই জমি সে ভোগদখল করবে। পররর্তিতে মানসম্মানের কথা চিন্তা করে থানায় অভিযোগ করি এবং থানা থেকে শালিশ মিমাংশার জন্য তারিখ নির্ধারন করে এবং আমরা শালিশদার নিযুক্ত করি কিন্তু শালিশীর আগের দিন রফিক সরদার শালিশীতে উপস্থিত থাকবেনা বলে থানায় জানিয়ে আসে। পরবর্তিতে আমরা মিমাংসার জন্য আদালতের স্বরনাপন্ন হলে আদালত উক্ত জমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু রফিক সরদার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে রাতের আধারে ঐ স্থানে ঘর তোলে।

ঘর তোলার বিষয় জানতে চাইলে আমাদেরকে পুনরায় গলিগালাজ করে এবং আমরা আদলতে কোন গেলাম এজন্য মামলায় ফাসানোর হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমার ভাই নুরুল ইসলাম মুন্সি আমার বাক প্রতিবন্ধি ভাই কামাল উদ্দিন এবং আমি জামাল উদ্দিন এবং আমার বড় ভাইয়ের ২ ছেলের বিরুদ্বে ২টি মিথ্যা মামলা করেন। আমি চাকুরীর সুবাদে দীর্ঘ ২০-২৫ বছর বাড়ির বাহিরে কর্মস্থলে থাকি। ঈদ, কুরবানী ছাড়া বাড়ি আসি না। একই ভাবে আমার বড় ভাইয়ের দুই ছেলে যারা ২০০৬ সাল থেকে পরিবার সহ ঢাকায় বসবাস করে তাদেরকেও ২ টি মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়। এলাকার সকল লোককে জিজ্ঞাসা করে দেখেন মিথ্যা মামালা দুটিতে যে তারিখ বলা বলা হয়েছে ঐ তারিখে আমাকে অথবা ভাইয়ের ছেলেদের কেউ এলাকায় দেখেছে কিনা ? অথবা জমির আশে-পাশে কিংবা বাদীদের সাথে কথা বলতে দেখেছে কিনা ? আমি সবসময় ভয়ে থাকি আমার ভাই নুরুল ইসলামও শারীরিকভাবে অসুস্থ। আমার আপন দুই ভাই নুরুল ইসলাম মুন্সী ও বাক প্রতিবন্ধি কামাল উদ্দিন এই দুই জন বাড়িতে থাকে। তাদের উপর হামলা করে আবার অন্য কোন মিথ্যা মামলায় আমাদের ফাসিয়ে না দেয়।

আমরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এর প্রতিকার চাই। আমাদের মত নিরিহ লোকদের একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বন্ধের এবং অন্যায় ভাবে দখলকৃত আমাদের জমি দখল মুক্ত করার জন্য দ্রুত সাংবাদিক ও প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন। তবে অভিযোগের বিষয় জানার জন্য মামলার বাদী ছনিয়া বেগমের সাথে কথা বলার জন্য (০১৯২৪-….. ২০৪) নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও (রাত ৮টা) ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।