ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিজলায় কালো কাপড়ে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র উদ্ধার

  • মাসুদ আহমেদ
  • আপডেট সময় : ১২:০৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫২৬ পঠিত:

মাসুদ আহমেদ  হিজলা প্রতিনিধি ::  

স্থানীয়ভাবে জানা যায় ১৮ ই ফেব্রুয়ারি
বৃহস্পতিবার বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নরসিংহপুর গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের পাওয়ার হাউজের সামনে রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া রবিউল ইসলাম (১৩)একটি পরিত্যক্ত অস্ত্র পেয়েছেন। রবিউল হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নরসিংহপুর গ্রামের মাইনউদ্দিন সিকদারের পুত্র বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি কাউড়িয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনা করি। আমি প্রতিদিনের মতো সকাল নয়টার সময় স্কুলে যাওয়ার পথে পল্লী বিদ্যুতের পাওয়ার হাউজের সামনে পৌঁছালে তখন রাস্তার পাশে পড়ে থাকা কালো কাপড় পেঁচানো একটি সাদৃশ্য বস্তুু দেখতে পাই। তখন আমি উক্ত বস্তুুটি হাতে তুলে নিয়ে, কাপড়টা খোলার সাথে সাথে দেখি একটি মরিচা পড়া পুরনো পিস্তল। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম এটি একটি খেলনার পিস্তল। পরে যখন জানতে পারি পিস্তলটি ওরজিনাল তখন আমার স্কুলব্যাগে করে বিদ্যালয়ে নিয়ে যাই। এবং আমাদের স্কুলের সহকারী শিক্ষক জসিম স্যারের কাছে দিয়ে দেই। অতঃপর তিনি অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত রিপন কান্তি দাস স্যারকে জানালে তিনি হিজলা থানায় বিষয়টি অবহিত করেন।

এ বিষয়ে কাউড়িয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) রিপন কান্তি দাস বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক জসিম স্যার আমাকে বিষয়টি প্রথমে বলেন, এবং উক্ত অস্ত্রটি আমার কাছে জমা করেন তখন আমি সঙ্গে সঙ্গে হিজলা থানার অফিসার্স ইনচার্জকে ফোন করি এবং বিষয়টি অবহিত করি। পরবর্তীতে হিজলা থানা পুলিশ এসে আমার জিম্মায় থাকা আগ্নে অস্ত্রটি নিয়ে যান।

 

অপরদিকে হিজলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন আমি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং আগ্নে অস্ত্রটি উদ্ধার করে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে ভিকটিমকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, যেহেতু অস্ত্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ছোট ছেলে পেয়েছে তাই আপাতত এ বিষয়ে কোন মামলা হয়নি। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি কারো এর সাথে সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag :
About Author Information

Barta Times bd

জনপ্রিয়

নলছিটিতে সেই পরকীয়া প্রেমিক প্রেমিকা অবশেষে পুলিশের খাঁচায়

হিজলায় কালো কাপড়ে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র উদ্ধার

আপডেট সময় : ১২:০৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাসুদ আহমেদ  হিজলা প্রতিনিধি ::  

স্থানীয়ভাবে জানা যায় ১৮ ই ফেব্রুয়ারি
বৃহস্পতিবার বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নরসিংহপুর গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের পাওয়ার হাউজের সামনে রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া রবিউল ইসলাম (১৩)একটি পরিত্যক্ত অস্ত্র পেয়েছেন। রবিউল হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নরসিংহপুর গ্রামের মাইনউদ্দিন সিকদারের পুত্র বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি কাউড়িয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশুনা করি। আমি প্রতিদিনের মতো সকাল নয়টার সময় স্কুলে যাওয়ার পথে পল্লী বিদ্যুতের পাওয়ার হাউজের সামনে পৌঁছালে তখন রাস্তার পাশে পড়ে থাকা কালো কাপড় পেঁচানো একটি সাদৃশ্য বস্তুু দেখতে পাই। তখন আমি উক্ত বস্তুুটি হাতে তুলে নিয়ে, কাপড়টা খোলার সাথে সাথে দেখি একটি মরিচা পড়া পুরনো পিস্তল। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম এটি একটি খেলনার পিস্তল। পরে যখন জানতে পারি পিস্তলটি ওরজিনাল তখন আমার স্কুলব্যাগে করে বিদ্যালয়ে নিয়ে যাই। এবং আমাদের স্কুলের সহকারী শিক্ষক জসিম স্যারের কাছে দিয়ে দেই। অতঃপর তিনি অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত রিপন কান্তি দাস স্যারকে জানালে তিনি হিজলা থানায় বিষয়টি অবহিত করেন।

এ বিষয়ে কাউড়িয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) রিপন কান্তি দাস বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক জসিম স্যার আমাকে বিষয়টি প্রথমে বলেন, এবং উক্ত অস্ত্রটি আমার কাছে জমা করেন তখন আমি সঙ্গে সঙ্গে হিজলা থানার অফিসার্স ইনচার্জকে ফোন করি এবং বিষয়টি অবহিত করি। পরবর্তীতে হিজলা থানা পুলিশ এসে আমার জিম্মায় থাকা আগ্নে অস্ত্রটি নিয়ে যান।

 

অপরদিকে হিজলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন আমি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং আগ্নে অস্ত্রটি উদ্ধার করে নিয়ে আসি। পরবর্তীতে ভিকটিমকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, যেহেতু অস্ত্রটি পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ছোট ছেলে পেয়েছে তাই আপাতত এ বিষয়ে কোন মামলা হয়নি। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি কারো এর সাথে সম্পৃক্ততা থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।