
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃঃ নগরীর কেডিসিতে প্রকাশ্যে চলছে মাদক বানিজ্য? ঘুড়তে আসা পুলিশ সদস্য ভিডিও ধারণ করায় হামলার শিকার!
বরিশালে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির ভিডিও ধারণ করায় মাদক বিক্রেতাদের হাতে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন বরিশাল জেলা পুলিশের কনস্টেবল ওয়াসিম।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) গভীর রাতে নগরীর কেডিসি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে মাদক বিক্রেতাদের দাবি, পুলিশ পরিচয়ে বিনামূল্যে মাদক নেওয়ার চেষ্টা করায় এ ঘটনা ঘটেছে। তবে এই প্রতিবেদকের কাছে ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ এসেছে।
ভুক্তভোগী ওয়াসিম বরিশাল জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কেডিসি এলাকায় প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি করছিলেন একাধিক মাদক ব্যবসায়ী। বিষয়টি দেখে উপস্থিত এক পুলিশ সদস্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে মাদক বিক্রেতারা তা দেখে ফেলেন। এরপর ১০–১৫ জন মাদক বিক্রেতা একত্র হয়ে তাকে মারধর শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে ওই পুলিশ সদস্য দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন।
মাদক বিক্রেতা রুবেল ওরফে খাটো রুবেল দাবি করে বলেন, ওয়াসিম নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে টাকা ছাড়াই মাদক নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে তিনি তার গায়ে হাত তোলেন। তখন উপস্থিত লোকজন ওয়াসিমকে ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসা করেন, একজন জেলা পুলিশের সদস্য হয়ে কেন এমন কাজ করছেন। তিনি এর কোনো সদুত্তর দিতে না পারলে তাকে আটক করা হয়। পরে নগর পুলিশের সিটিএসবিতে কর্মরত আবু হানিফ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, কোতয়ালী মডেল থানার কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যরা। প্ল্যানেট (শিশুপার্ক) এর বিপরীতে রাজা বাহাদুর সড়কের মুখে আড়ালে দাড়িয়ে থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১০০/২০০ টাকায় গাঁজা কিনে সেবন কারীদের তথ্য নিয়ে তাদের আটক করে মোটা অংকের বিনিময় রফাদফা করে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এবং কেডিসির চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশ সদস্যরা কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। কিন্তু এধরণের কিছু পুলিশ সদস্যদের জন্য গোটা পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যে পুলিশ সদস্য মাদক বিক্রির ভিডিও ধারণ করায় হামলার শিকার হয়েছে। এতে আমি মনে করি পুরো বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমি পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে এধরণের পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “ঘটনার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”