
ইমরান হোসেন: গত প্রায় ১বছর যাবৎ বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসের গুটি কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীর দূর্নীতি ও অনিয়মের কারনে সমালোচনায় রয়েছে সরকারী এই অফিসটি। মিডিয়ার মাধ্যমে অসাধু কিছু কর্মচারীর দূর্নীতির খবর সবত্র ছড়িয়ে পরে। তবে, এতো অনিয়ম আর দূর্নীতির খবরের ভিড়ে আলোচনার উল্টোপথে যায়গা করে নিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা: এস.এম. মনজুর-এ-এলাহী। স্রোতের বিপরিতে হেটে সিভিল সার্জন অফিসের দূর্নীতি ও অনিয়ম দুর করার জন্য হাতে নিয়েছেন নানা ধরনের পদক্ষেপ।
যার’ই ধারাবাহিকতায় সিভিল সার্জন ডা: এস.এম. মনজুর-এ-এলাহী গত ১৫ই জুন অফিসের সামনে “বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসের নামে কাউকে কোন ধরনের আর্থিক লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। কেউ বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নামে মিথ্যা পরিচয় কোন ধরনের অসদুপায় অবলম্বন করলে সিভিল সার্জন’কে অবহিত করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান। এছাড়াও তিনি ৯জুলাই বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের যথাসময়ে অফিসে আগমন ও অবস্থান এবং নির্ধারিত সময়ের পূর্বে কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ প্রদান করা হইলো।” লিখে বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দিয়েছেন।
সিভিল সার্জন অফিসে সেবা গ্রহীতা অনেকেই বলছেন, সিভিল সার্জন ডা: এস.এম. মনজুর-এ- এলাহী’র এমন উদ্যোগের পরে অফিসের চিত্র অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে।
এদিকে, দালাল সিন্ডিকেটের আখড়া হিসেবে পরিচিত বরিশাল সদর হাসপতালের চিত্র পরিবর্তন করতে বেশ কড়া নজর দিয়েছেন বরিশাল সিভিল সার্জন। হাসপাতালে কর্মরত বেশ কয়েকজন স্টাফ ও রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন বরিশাল সিভিল সার্জন স্যারের কড়া নজরদারীর কারনে সদর গাসপাতালের দালাল সিন্ডিকেটের আনাগোনা পূর্বের চেয়ে অনেকাংশেই কমে গিয়েছে।
সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, সিভিল সার্জন ডা: এস.এম. মনজুর-এ- এলাহী’র কঠোর অবস্থানের কারনে বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসে ও বরিশাল সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ নিশ্চিত হয়েছে। বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা: এস.এম. মনজুর-এ-এলাহী বলেন- ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়মের ব্যাপারে আমি সব সময় কঠোর অবস্থানে ছিলাম, এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ।
সে ক্ষেত্রে আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা একান্ত কাম্য। সাধারণ মানুষের কল্যাণে ও সেবা প্রদানে যা যা করার ধরকার, আমি তার শতভাগ করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। বরিশাল সিভিল সার্জন অফিস’কে দুর্নীতিমুক্ত করতে আমাকে যদি আরও কঠোর হতে হয় তাহলে আমি আরো কঠোর হবো। কোন প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে এক চুলও ছাড় দেয়া হবে না। এটা আমার পরিস্কার কথা।