
বার্তা টাইমস বিডিঃঃ গত আট মাসে ১,০২৩ জন সেবাগ্রহীতাকে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা বা সেবা প্রদান করেছেন বরিশালের মানবিক জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন। সপ্তাহের একটি দিন বুধবার জেলার আপামর সাধারণ মানুষের সাথে তাদের সমস্যা নিয়ে সরাসরি কথা বলেন জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন।

এসময় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা নিয়ে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করে দেন তিনি। এরফলে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় শুধু প্রশাসনিক কাজের কেন্দ্র নয়, বরং এটি এখন হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। জেলা প্রশাসনের নিয়মিত সাপ্তাহিক গণশুনানি প্রতি বুধবার অনুষ্ঠিত হলেও, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এই দায়িত্বকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে নয়, বরং এক আন্তরিক দায়বদ্ধতা হিসেবে পালন করে আসছেন।
তিনি গণশুনানিতে আগত নাগরিকদের সমস্যা সরাসরি শুনে দ্রুততম সময়ে সমাধানে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত গত আট মাসে তিনি ১,০২৩ জন সেবাগ্রহীতাকে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা প্রদান করেছেন। একই ধারাবাহিকতায় ৪ জুনের গণশুনানিতে বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রাবেয়া বেগম (৫৬) তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার কথা জেলা প্রশাসককে জানান। তাৎক্ষণিক তার সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দেয়া হয় গণশুনানিতে উপস্থিত থাকা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মুবিনুল হক মুবিনকে। রাবেয়া বেগমের সার্বিক সুচিকিৎসা ও পরামর্শের ব্যবস্থা করেন তিনি।
একইভাবে, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রাবণী আক্তার সুরাইয়া বই কিনতে না পারার অবরিশালে গণশুনানিতে আট মাসে ১,০২৩ জনকে সেবা দিয়েছেন মানবিক জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেনসুবিধার কথা জানালে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজের মাধ্যমে তাকে প্রয়োজনীয় পাঠ্যপুস্তক প্রদানের ব্যবস্থা করে দেন জেলা প্রশাসক।
কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা সাজনীন ইসলাম আবিদাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান ছাড়াও, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনিরুল নাহার মুন্নির মাধ্যমে সেলাইমেশিন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। যা তাকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে।

জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে এই গণশুনানিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থাকেন। নাগরিকের সমস্যা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তাৎক্ষণিকভাবে প্রেরণ করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এছাড়াও তিনি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার সরকারের মাধ্যমে শুকনা খাবার বিতরণ ব্যবস্থা অব্যাহত রেখেছেন।