ইমরান হোসেন:
মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করায় সৈয়দ আশিক চৌধুরীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ভুক্তভোগী পারুল বেগম। পারুল বেগমের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও তথ্য গোপন করে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ তুলেছেন।
বুধবার (১৮ জুন) পারুল বেগমের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছেন বরিশাল জজকোর্টের অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, নোটিশ গ্রহীতা সৈয়দ আশিক চৌধুরী, পিতা: সৈয়দ জুলফিকার উদ্দিন চৌধুরী, সাং দক্ষিন চকবাজার, বরিশাল। এর সাথে নোটিশ দাতা পারুল বেগমের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলিতেছ। তাহার ধারাবাহিকতায় নোটিশ গ্রহীতা সৈয়দ আশিক চৌধুরী গত ২৬/০৪/২০২৫ তারিখ বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। নোটিশ গ্রহীতা সৈয়দ আশিক চৌধুরী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন নোটিশ দাতা পারুল বেগম জাল দলিল তৈরি করে জমি দখল করেছেন বলে উল্লেখ করেন যা সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। নোটিশ দাতা পারুল বেগম ১৯৫৫ সালে অমিয় কুমার গংদের কাছ থেকে সাব-কবলা দলিল মূল্যে ৩৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন যার দলিল নং ৬৭২০। উক্ত জমি নিয়ে নোটিশ গ্রহীতা সৈয়দ আশিক চৌধুরীর সাথে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান। মামলার বিষয়টি গোপন রেখে মিথ্যা তথ্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেন।
নোটিশে আরো বলা হয়, নোটিশ গ্রহীতা সৈয়দ আশিক চৌধুরী নোটিশ দাতা পারুল বেগমের আত্নীয় ও ভাড়াটিয়াদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে ভুমি প্রতিরোধ আইনে আদালতে মামলা করেন সেই কথা নোটিশ গ্রহীতা সৈয়দ আশিক চৌধুরী কোথায় উল্লেখ করেন না। পারুল বেগমের নামে ইস্যু করা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা উল্লেখ করেছেন। বিদ্যুৎ কতৃপক্ষ অনুসন্ধান করিয়া বিদ্যুৎ সচল রেখেছে।
এছাড়া নোটিশে বলা হয়, গত ২৩/০৩/২০২৪ তারিখ দলিল নং ৩২৯৮ এর মাধ্যমে নাম জারির কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। নোটিশ গ্রহীতার এমন অপরাধ মূলক মিথ্যাচার যা ফৌজদারি/সাইবার অপরাধের শামিল। নোটিশ গ্রহীতার এমন মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও প্রকাশ করিয়া জনমনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করিয়াছে যাহার ফলে নোটিশ দাতার ৫০ লক্ষ টাকার মানহীন করিয়াছেন। উক্ত জমির বিষয় নিয়ে মামলা চলমান অবস্থায় কোন রকম বিবৃতি দেয়া আদালত অবমাননার শামিল।
নোটিশ দাতার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান বলেন, নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।