মোঃ কামরুজ্জামান কর্মজীবন থেকেই তিনি জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত।দীর্ঘ বছর যাবৎ তিনি গরিব দুঃখী ও মেহনতি মানুষের দুঃসময়ে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি রাষ্ট্রনায়ক তারেক জিয়ার একজন সৈনিক হিসেবে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। দলের দুঃসময় পাশে থেকে নজর কেড়েছে অনেক সিনিয়র নেতা কর্মীদের। নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন রাজনীতিতে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ব্যবসা বাণিজ্য ও সামাজিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বরিশাল নগরীর ১০নং ওয়ার্ডে সাধারণ মানুষ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশে সব সময় ছিলেন। শ্রমিক রাজনৈতিক জীবনে তিনি ওয়ার্ডে নেতৃত্বে সুনাম কুড়িয়েছেন।
মোঃ কামরুজ্জামান তার রাজনৈতিক জীবনে বিএনপির কর্মী থেকে ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির শ্রমিক দলের সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন । এরপর সুনামের সাথে ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব পান করেছেন। তার স্ত্রী, সন্তানসহ পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে।
১০নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা নাছির মুন্সি বলেন, কামরুজ্জামান ভাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন আদর্শ কর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক জিয়ার একজন সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বৈরাচার সরকার আওয়ামী লীগের ১৬ টি বছর হামলা মামলা শিকার হয়েছেন অনেকবার। বিএনপি করার কারনে মামলার আসামি হয়েছেন হাঁফ ডজন।
এই বিএনপির রাজনীতি করে তার জীবনে অনেক লাঞ্ছিত হয়েছে। গত ১৬ বছরের একটি রাত শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি ,এই স্বৈরাচার সরকার তাকে ও তার পরিবারকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। ঠিকমতো পরিবারের সাথেও সময় কাটাতে পারিনি। যে বিষয়টি মহানগর সিনিয়ার নেতাকর্মীরা অবগত আছে। জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন মিথ্যা মামলায় কারাগারে। হয়েছেন আর্থিকভাবে নিঃস্ব।
এদিকে ওয়ার্ডের সাধারন বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, তারা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ত্যাগী নেতা, দলের দূরদিনের কান্ডারী মোঃ কামরুজ্জামান চায়। তারা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের আইডিতে মোঃ কামরুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেখতে চাই এমন ভাইরাল হয়েছে।
এবিষয় মোঃ কামরুজ্জামান প্রতিবেদককে বলেন, সারা বরিশালে অনেক নেতাকর্মী জুলুম নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করি যে ১৬ টি বছর পরে আমাদের কথা মনে হয় শুনেছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের এই বাংলার মাটিতে ছাত্র জনতা পতন ঘটিয়েছে। এই দিনটি ছিল আমাদের জন্য আনন্দের। কারণ ১৬ বছরের যা কষ্ট করেছি তা ৫ আগস্টে পূরণ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দলের একজন সৈনিক হিসেবে দেশ ও জাতিকে বলতে চাই যে আগামীর প্রজন্ম আপনাদের ১৬ বছরের যে মূল্যবান ভোট দিতে পারেননি সে অধিকার আমরা ফিরিয়ে দিতে চাই।দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দেবেন এটাই আমি আশা করছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ১০ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাসহ বরিশালবাসীর কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাই তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। এছাড়াও বিএনপি মহানগর নেতৃবৃন্দ, সিনিয়র নেতা ও সকলকর্মীদের জন্য দোয়া করবেন তারা যেনো বিএনপির নেতৃত্বে সুন্দর একটি বরিশাল গড়ার লক্ষ্যে সফল ভাবে কাজ করে যেতে পারেন।