নিজস্ব প্রতিবেদক ঃঃ বরিশাল এয়ারপোর্ট থানাধীন মাধবপাশা ইউনিয়নে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে মারধর ও প্রকাশ্যে হত্যার হুকমি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার ৩ মার্চ বিকেল আনুমানিক ৫ টার সময় মাধবপাশা ইউনিয়নে পাংশা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
ভূক্তভোগী রিয়াজ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ওয়ারিশ সূত্রে নিজস্ব জমি বিক্রি করা হয়েছে অনেক বছর পূর্বে। সেই জমি ৫ মাস পূর্বে ক্রেতাকে বুঝিয়ে দিলে ক্রেতা আমাদের খুশি হয়ে ১লক্ষ ৬০ হাজার টাকা দেন। পরে ওইটাকা আমাদের সকল ওয়ারিশগনদের মাঝে সমন্বয় করে অংশ বুঝে ভাগ করে দেয়া হয়। কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্যাডার একই গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে রাসেল হোসেন, মৃতঃ আলতাফ হোসেনের ছেলে ফাইজুল ও ফয়সাল হোসেন, মজিবর হাওলাদারের ছেলে জিহাদ হাওলাদার ও দুলাল মিয়ার স্ত্রী হিরাসহ অজ্ঞাত ৪/৫জন মিলে বিভিন্ন সময় ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গতকাল আমার বড় ভাই হুমায়ুন কবির ( ৪২) ও স্ত্রী দিপা আক্তার মিম ( ২৮) কে মারধর করেন। পরে আমরা ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রিয়াজ হোসেন আরো বলেন, আমাদের এখন নিরাপত্তা নেই। আমি তাদের ২ লক্ষ টাকা দিতে অস্বীকার করায় চাঁদাবাজ গ্রুপ গতকাল রাতে আমার ব্যাটারী চালিত (হলুদ) অটো গাড়িটি ড্রাইভারকে মারধর করে ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। তারা আমাদের প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে ড্রাইভার চাঁন মিয়া বলেন, আমার গাড়ির মহাজনদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ রাসেল হোসেন গাংদের সাথে ঝামেলা চলে আসছে। সোমবার ৩ মার্চ
রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার সময় যাত্রী সেজে পল্লী বিদ্যু ও হাই স্কুলের মাঁঝামাঝি স্থান থেকে ৪/৫জন লোক আমাকে মারধর করে গাড়ি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে আমি জীবন বাঁচানোর জন্য দৌড়ে পালাই। আমার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। শরীরে নিলা ফুলা জখম হয়েছে।
এবিষয় অভিযুক্ত ফয়সাল হোসেন প্রতিবেদকে মুঠোফোনে বলেন, আমরা জমি বিক্রির ১৯ হাজার টাকা দাবি করছি। আমরা কোন মারধর করি নাই ও গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমরা জড়িত নাই। তারা আমার আপন চাচাতো ভাই। আমাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা।