স্টাফ রিপোর্টার
বরিশালে ডোবা থেকে অটো চালক হিরণ হাওলাদার (৪০) এর গলিত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত অন্যতম প্রধান আসামি র্যাবের হাতে আটক
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের শান্তি শৃংখলা রক্ষায় বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে র্যাব সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এ প্রেক্ষিতে সর্বদাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ ও মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখে দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস ভাবে কাজ করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে র্যাব। মহাপরিচালক র্যাব ফোর্সেস মহোদয়ের সুস্পষ্ট নির্দেশনা মোতাবেক র্যাবের সকল ব্যাটালিয়ন সমূহ আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সর্বাত্মক অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, র্যাব—৮, বরিশাল, সদর কোম্পানীর একটি বিশেষ আভিযানিক দল অদ্য ১৩-১১-২০২৪ ইং তারিখ সময় আনুঃ ১৪.১৫ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া চৌরাস্তা এলাকা হতে বরিশালের কাউনিয়া থানার চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হিরণ হাওলাদার (৪০) হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত অন্যতম প্রধান আসামী শুভ ফরাজী, পিতা: মোতালেব ফরাজী, সাং রাঢীমহল, থানা: কাউনিয়া, জেলা: বরিশাল’কে গ্রেফতার করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ভিকটিম অটোচালক হিরণ হাওলাদার গত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে সন্ধ্যা ১৯০০ ঘটিকায় প্রতিদিনের ন্যায় অটো চালানোর জন্য বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। তার পরিবার ও স্বজনেরা সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে বরিশাল কোতয়ালী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন, যার জিডি নং—৬৯৫, তারিখ—০৯/০৯/২৪। পরবতীর্তে, গত ০৭/১০/২০২৪ তারিখ দুপুর আনুঃ ১২.১০ ঘটিকায় বরিশাল মহানগরীর কাউনিয়া থানা পুলিশ উক্ত থানাধীন ৩ নং চরবাড়িয়া ইউনিয়নের সাপানিয়া গ্রামের জনৈক হাবিবুর রহমান টিপু এর মালিকানাধীন জমির উত্তর পশ্চিম কোনে ব্যারের মধ্যে পানিতে ভাসমান অবস্থায় অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেন। উক্ত মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবার সনাক্ত করে তার নাম হিরণ হাওলাদার বলে জানায়। উল্লিখিত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেন, যার মামলা নং—০৫, তারিখ—০৮/১০/২০২৪খ্রিঃ। উল্লিখিত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। বিভিন্ন সোস্যাল ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।
এবিষয় র্যাব—৮, বরিশাল, সদর কোম্পানির নজরে আসলে উক্ত হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্ত বৃদ্ধি করে। উক্ত মামলায় গ্রেফতারকৃত অন্যান্য আসামীদের দেওয়া তথ্য এবং র্যাব গোয়েন্দা পরিদপ্তর, ঢাকা এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আসামীর অবস্থান সনাক্ত করে র্যাব-১০, সদর কোম্পানী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা এর সহায়তায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে বরিশাল জেলার কাউনিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।