বাকেরগঞ্জ (বরিশাল)প্রতিনিধি:: বরিশালের বাকেরগঞ্জে সোহেল খান (৩৫) নামে এক কৃষককে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপি নেতাসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
গতকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) বাকেরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার কবাই ইউনিয়নের উত্তর কবাই গ্রামের মন্নান হাওলাদারের পুত্র ও ৮ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সাবেক সভাপতি , বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য শাহিন হাওলাদার (৫০) তার ভাই শামিম হাওলাদার (৪৬) একই গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে শওকত খান (৩৫)।
নিহত কৃষক সোহেল খান উপজেলার কবাই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর কবাই গ্রামের নূর ইসলাম খানের ছেলে।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানাযায় গত কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষের জন্য সোহেল খানের নিকট থেকে শাহিন হাওলাদার চরকবাইতে সোহেলের কয়েক বিঘা জমি লিজ নেয়। গত বছর জমি লিজ না দিয়ে সোহেল নিজে চাষাবাদ করে এতে শাহীন হাওলাদার ক্ষিপ্ত হয়ে বেশ কিছু মহিষ এনে সোহেলের চাষাবাদের জমির ফসল নষ্ট করে। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি তৈরি হয় শত্রুতার।এই শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মব সৃষ্টি করে গত শনিবার(২৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টার সময় সোহেল খানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত পা বেঁধে রাত ১২ টার দিকে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী মসজিদের সামনে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে একই গ্রামের শাহিন হাওলাদারসহ নামধারী ১২ জন অজ্ঞাত ২০থেকে ২৫ জন মিলে ।পরবর্তীতে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে ওই রাতে ১ টার সময় মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয় এলাকায় ডাকাত পরেছে। এ ঘটনার তিন ঘণ্টা পরে রাত পৌনে ৪ টার সময় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নাম্বার থেকে কল দিয়ে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে জানানো হয় উপজেলা কবাই ইউনিয়নের চরকবাই গ্রামে একজন ডাকাত আটকে রাখা হয়েছে।উক্ত সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সোহেলের লাশ হাতপা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।
এঘটনায় নিহত সোহেলের মা নিলুফা বেগম বাদী গতকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) বাকেরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান মব সৃষ্টি করে সোহেল খান নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করে, পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামিসহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার বারোটার দিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।