স্টাফ রিপোর্টারঃঃ বরিশাল নগরীর পোর্টরোড হোটেল স্বাগতম থেকে এক যুবককে ২১ পিচ ইয়াবাসহ আটক করেছেন স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশ।
গত রবিবার ১৩ই সেপ্টেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, নগরীর চিহ্নিত পতিতা ব্যবসায়ী স্বিপন ওরফে পতিতা স্বিপনের সহযোগী ছিলেন আটককৃত ওই যুবক। আবাসিক হোটেল ব্যবসার আড়ালে পতিতা ও ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছে এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে জিরো থেকে আজ হিরো হয়েছে স্বিপন।
পোর্টরোডের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানায়, স্বিপন এক সময় স্বাগতম হোটেলের কর্মচারী ছিলো। হঠাৎ স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশের দোয়ায় আজ তিনি ৫টি হোটেলের মালিক।
তিনি আরো জানায়, পোর্টরোডে হোটেল স্বাগতম,হোটেল সী-প্যালেজ, হোটেল রয়েল, হোটেল খান বোডিং ও চাঁদমারীতে হোটেল চারু। এসব হোটেলে নিয়মিত চলছে পতিতা, মাদক ও বড় বড় জুয়ার আসর। তবে অদৃশ্য এক ক্ষমতায় স্বিপনের পতিতা হোটেল গুলোতে নেই প্রশাসনের অভিযান।
(ছদ্মনাম) কালু বলেন, গত কয়েকদিন আগে স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশ বিভিন্ন হোটেলে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় স্বিপনের হোটেল খান বোডিং এর ২য় তলা থেকে এক পতিতা সড়কে লাফ দেয়। পরে স্বিপন শেবাচিম হাসপাতালে আহত পতিতা কিশোরীকে ভর্তি করে। কিন্তু কিশোরীর অবস্থা আশংকা জনক হওযায় কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকায় রেফার করেন। তবে স্বিপন ওই ঘটনা আড়াল করতে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এছাড়াও স্বিপনের নামে পতিতা ব্যবসা, মানবপাচারসহ একাধীক মামলা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হোটেল স্বাগতম থেকে ইয়াবাসহ আটককৃত মেহেদী হাসন স্বিপনের সহযোগী ও স্বিপনের পার্টনার মিজানুর রহমানের ভাগিনা। হোটেল স্বাগতমে, হোটেল রয়েলে ও চারুতে ২৪ ঘন্টাই মাদক বিক্রি ও মাদক সেবন, জুয়ার আসর চলে।
এদিকে হোটেল স্বিপন বার্তা টাইমস বিডিকে বলেন, আমার হোটেলে পুলিশ অভিযান করে নি। পাশের একটি হোটেলে অভিযান করেছে। তখন আমার একটা মেয়ে পুলিশের আতংকে লাফ দেয়। আহত মেয়েটাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এছাড়াও ডিবি পুলিশের কিছু সদস্য আমার হোটেলে নিয়মিত যাতায়াতে করে।
এবিষয় স্টিমারঘাট ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই নাসিমকে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করে নি।
অপরদিকে স্বিপনের এমন কর্মকান্ডে ক্ষোভ জানিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। একাধীক ব্যবসায়ী বলেছেন, স্বিপন হঠাৎ করেই ১টি থেকে ৫টি হোটেলের মালিক। তার সহযোগী মিজানুর রহমান প্রতিটি হোটেলে পার্টনার। আর এসব হোটেল ব্যবসার আড়ালে ইয়াবা ও নারী পাচার ব্যবসা করে স্বিপন কোটিপতির বনে গেছে। ৷৷৷৷৷৷ (আসছে ২য় পর্ব)